চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে মো. হেলাল আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক।
নিহত মো. বেলাল হোসেন (৬০) নোয়াখালীর সুধারাম থানার পূর্ব সুরলিক্কা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী হাসনাবাদ এলাকায় বসবাস করছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বেলাল হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করে ছেলে হেলাল উদ্দিন (১৮)। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ঘরের ভেতর থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিয়ে বাবার বুকে কোপ দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, বাবা ও ছেলের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলে বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় বাবা কাস্তে হাতে নিয়ে ছেলের দিকে গেলে সে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে বিএসবিএ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাটিয়ারীর হাসনাবাদ এলাকা থেকে মো. হেলালকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।